ভাষা শিক্ষণের নীতি pdf||bengali pedagogy pdf

ভাষা শিক্ষণের নীতি pdf||bengali pedagogy pdf

প্রিয় বন্ধুরা,

আজ আপনাদের জন্য নিয়ে এলাম যা আপনাদের আগত পরীক্ষার জন্য খুবই উপকারী হয়ে উঠবে। যারা Primary & Upper Primary Tet এর জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছেন তারা আমাদের টেলিগ্রাম চ্যানেলেহোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপে জয়েন হয়ে যান এখানে সিলেবাস অনুযায়ী সমস্ত নোট শেয়ার করা হয়। তাই সময় মত সমস্ত নোট পেতে যুক্ত হয়ে যান।

bengali pedagogy pdf

ভাষা শিক্ষণের ক্ষেত্রে ‘নীতি’ শব্দটির অর্থ:

ভাষা শিক্ষণ বা যে কোনো শিক্ষণের ক্ষেত্রে ‘নীতি’ শব্দটির অর্থ বুঝে নেওয়া দরকার। একটি সার্থক শিক্ষণের মূলের তিনটি জিনিস থাকে- নীতি (Principle), কৌশল (Technique) এবং পদ্ধতি (Method)। নীতি হলো কাজের চিন্তা (thought), কৌশল হল কাজের(action) কারিগরি এবং চিন্তাকে কাজে পরিণত করে পদ্ধতি (method)। অর্থাৎ পদ্ধতি হলো চিন্তা ও কাজের সংযোগ (a link between thought and action)। তাই শিক্ষণ দৃষ্টিভঙ্গিতে ‘নীতি’ হলো শিক্ষণ সম্পর্কে সামগ্রিক চিন্তাভাবনা। এই কারণেই ভাষা শিখনের ক্ষেত্রে একজন শিক্ষক ভাববেন-ভাষা কি? ভাষার উদ্দেশ্যই বা কী? ভাষা ও সংস্কৃতির মধ্যে সম্পর্ক কোথায়? তিনি যাদের শেখাবেন, তারা কারা? শিক্ষক হিসেবে তাঁর কাজ কি? শিক্ষার্থীদের সাহায্য করার জন্য তিনি কি করবেন ইত্যাদি। সুতরাং, ভাষা শিক্ষণ শুরু করার আগে একজন শিক্ষকের সামগ্রিক চিন্তা ভাবনাই হলো ‘ভাষা শিক্ষণের নীতি’।

এই প্রসঙ্গে একটি কথা বলা যায় যে, ভাষা শিক্ষণের ক্ষেত্রে একটি নীতি থাকা প্রয়োজন, এ কথাটি যেমন সর্বাংশে সত্য তেমনি একথাও সত্য যে ভাষা শিক্ষণের উদ্দেশ্য সম্পর্কে সঠিক ধারণা না থাকলে যে নীতি গ্রহণ করা হোক না কেন, তাতে সাফল্য আসবে না। শিক্ষার্থীকে আত্মপ্রকাশের সক্ষম করে তোলা এবং তার মানসিক আবেগমূলক ও নৈতিক বিকাশ ঘটানোর পাশাপাশি তার স্বাধীন চিন্তা, বিচারশক্তি প্রকাশ করার ক্ষমতা অর্জনও ভাষা শিখনের একটি উদ্দেশ্য।

ভাষা শিক্ষণের মূল নীতিগুলি গড়ে ওঠে ভাষাবিজ্ঞান এবং মনোবিজ্ঞানের উপর ভিত্তি করে। ভাষাবিজ্ঞানে থাকা ভাষার নিয়ম আর মনোবিজ্ঞান থাকে শিখন এর মূল তত্ত্ব। এই দুইয়ের ওপর ভিত্তি করে ভাষা শিক্ষণের নীতিগুলি আলোচনা করা হল।

ভাষা শিক্ষণের নীতি

1. শিক্ষার্থী সম্পর্কে ভাবনা: একজন শিক্ষক প্রথমে বিবেচনা করবেন-তিনি যেসব শিক্ষার্থীদের শেখাচ্ছেন বা শেখাবেন, তারা কারা? আলাদা করে প্রত্যেক শিক্ষার্থীর মনস্তত্ত্ব ও তাদের সামাজিক অবস্থান জানা শিক্ষকের পক্ষে অত্যন্ত জরুরি। এক্ষেত্রে তিনি শ্রেণী-শিক্ষক বা অন্যান্য শিক্ষকের সঙ্গে আলোচনা করবেন। একজন শিক্ষার্থী অন্যান্য দিক বাদ দিয়ে শুধুমাত্র তার শিখন এর উপর নজর দিলেই হবে না।

2. শিক্ষার্থীকে পঠন-পাঠনে যুক্ত করা: শ্রেণিকক্ষে পড়ানোর সময় যতদূর সম্ভব শিক্ষার্থীদের পঠন-পাঠনের যুক্ত করতে হবে। শিক্ষক চেষ্টা করবেন তার পাঠদান যেন শিক্ষার্থীকেন্দ্রিক হয়। শ্রেণিকক্ষে শিক্ষার্থীদের কথা বলার সুযোগ দিতে হবে। অর্থাৎ দেখতে হবে, তারাও যেন আলোচনায় অংশগ্রহণের সুযোগ পায়। শিক্ষক যেমন বলবেন, শিক্ষার্থীরাও তেমন তাদের বক্তব্য প্রকাশ করবে- শিক্ষার্থী-শিক্ষকের এই কথা বলার সুযোগের সঠিক অনুপাত বজায় রাখতে হবে। এই অনুপাত ৫০%-৫০% । অর্থাৎ ৪০ মিনিটের একটি ক্লাসে অন্ততপক্ষে কুড়ি মিনিট শিক্ষার্থীদের বলতে দিতে হবে।

3. চর্চার সুযোগ দেওয়া: ভাষা শিক্ষার ক্ষেত্রে চর্চা একটা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। একজন শিক্ষক ভাষার বিভিন্ন বিষয় যখন পড়াবেন, তিনি নিশ্চয় লক্ষ্য রাখবেন যে, শিক্ষার্থীরা যেন বিষয়গুলি অবশ্যই চর্চার মধ্যে রাখে।

4. চারটি ভাষা দক্ষতার শিক্ষা দেওয়া: চারটি ভাষা দক্ষতা হল- শ্রবণ, কথন, পঠন এবং লিখনশ্রবণ ও পঠন গ্রহণমুলক দক্ষতা এবং কথন ও লিখন সৃজনশীল দক্ষতা। ভাষা শিখনের ক্ষেত্রে শিক্ষার্থীকে এই চারটি বিষয়ে দক্ষতা অর্জন করতে হবে। একজন শিক্ষক এই চারটি ভাষা দক্ষতা অখন্ডভাবে বা একই সঙ্গে শেখাবেন।

5. ব্যবহারিক এবং অর্থপূর্ণ শিখন: ভাষা শিখনটি যেন শিক্ষার্থীর পক্ষে ব্যবহারিক এবং অর্থপূর্ণ হয়, সে দিকে নজর রাখা প্রয়োজন। শিক্ষার্থীর প্রয়োজন এবং মূল্যবোধ এর সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে তাদের ব্যবহারিক ও অর্থপূর্ণ শিখন দিতে হবে। ক্ষেত্রে একজন শিক্ষক প্রথমেই শিক্ষার্থীর অভিজ্ঞতা বিষয় থেকে শুরু করতে পারেন।

6. জানা বিষয় থেকে অজানা বিষয় যাওয়া: শিক্ষণ প্রক্রিয়ায় জানা বিষয় থেকে অজানা বিষয় যেতে হয়। জানা বিষয়ের সঙ্গে অজানা বিষয়ের কোথায় কোথায় মিল আছে, সেটি খুঁজে বার করতে হবে। এক্ষেত্রে পূর্বপরিকল্পনার প্রয়োজন। আগে থেকেই শিক্ষক একটি অর্থপূর্ণ পাঠ্য বিষয় তৈরি করবেন।

7. মূর্ত থেকে বিমূর্ত ধারণার দিকে যাওয়া: মূর্ত থেকে বিমূর্তের দিকে যাওয়াও শিক্ষণ প্রক্রিয়ার একটি নীতি। যে কোনো বিমূর্ত ধারণার শিক্ষা দেওয়া অত্যন্ত কঠিন। এক্ষেত্রে ভাষা সংক্রান্ত খেলা বা ব্যাকরণ সংক্রান্ত খেলা খুব কাজে দেয়। ইংরেজি ভাষা শিক্ষার ক্ষেত্রে এইরকম অনেক খেলা চালু আছে।

8. একটি নির্দিষ্ট সময়ে কেবল এটি বিষয়ের শিক্ষা দেওয়া: একটি নির্দিষ্ট সময়ে একজন শিক্ষককে বলে একটি বিষয় শেখাবেন। একই সময়ে শব্দভাণ্ডার ও গঠন-প্রকৃতি শেখাবেন না। আবার নতুন কোন ব্যাকরণগত বিশ্লেষণের সময় তিনি শিক্ষার্থীর জানা শব্দই নির্বাচন করবেন। যেমন– ‘বীণাপাণি’, ‘ঊর্ণনাভ’, ‘চন্দ্রমৌলি’- এগুলি সবই বহুব্রীহি সমাসের উদাহরণ। কিন্তু শিক্ষক যখন বহুব্রীহি সমাসের বিশ্লেষণ করবেন তখন ‘বীণাপাণি’ শব্দটিকেই বেছে নেবেন। কারণ শিক্ষার্থীদের কাছে এই শব্দটি সুপরিচিত। এইভাবে নতুন কোন শব্দের বিশ্লেষণে ব্যাকরণের জানা কাঠামো বেছে নিতে হবে।

9. নতুন বিষয় ও পুরনো বিষয়ের শিক্ষণ: শিখনের একটি সাধারণত বৈশিষ্ট্য এই যে, কোন একটা বিষয় প্রথমবার সঠিকভাবে শেখা যতটা সহজ, সেই বিষয়টি পুনরায় শেখা ততটা সহজ নয়। অর্থাৎ কোন একটি বিষয় শিক্ষার্থী যদি প্রথমবার সঠিকভাবে না শিখতে পারে, তবে তার পক্ষে সেটি পুনরায় শেখা একটু কঠিন হয়ে পড়ে। এখানে শিক্ষকের ভূমিকা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। পাঠ্য বিষয় সমূহের ওপর শিক্ষকের যেন ভালো দখল থাকে। শিক্ষক এমনভাবে শেখাবেন যাতে সেটি পুনরায় শিখতে না হয়। আবার পূর্বে ফুল শেখা কোন বিষয় শেখানোর সময় তিনি নিশ্চয় সচেতন থাকবেন, কারণ কাজটা খুব সহজ নয়।

10. ব্যাকরণগত দৃষ্টিভঙ্গি: ব্যাকরণ শিক্ষণ এর সময় শিক্ষক সজাগ থাকবেন। ব্যাকরণ শিক্ষণের ক্ষেত্রে অবরোহী দৃষ্টিভঙ্গির তুলনায় আরোহী দৃষ্টিভঙ্গি অনেক বেশি কার্যকরী। শিক্ষকের শিক্ষণ দৃষ্টিভঙ্গি এমন হবে যাতে শিক্ষার্থীরা যেন নিজেরাই ব্যাকরণের নিয়মগুলি খুঁজে নিতে পারে। একেই বলা হয় ‘আবিষ্কার তত্ত্ব’।

11. ভাষা শিক্ষার সহজ উপাদান হিসেবে ব্যাকরণ শিক্ষা: ভাষা শিখনের ক্ষেত্রে ব্যাকরণের জ্ঞান যে প্রয়োজন, তাতে কোনো সন্দেহ নেই। কিন্তু তা যেন কেবল ব্যাকরণ শিক্ষায় পর্যবসিত না হয়। অর্থাৎ, শুধু ব্যাকরণ শেখার জন্যই ব্যাকরণ শিক্ষা নয়। ব্যাকরণ যাতে ভাষা শিক্ষার ক্ষেত্রে সহায়ক উপাদান হিসেবে কাজ করে, সেদিকে যথেষ্ট খেয়াল রাখতে হবে। সব শিক্ষার্থী অবচেতনভাবে জাতে মাতৃভাষা অর্জন করে যোগাযোগের মাধ্যম হিসেবে সেই ভাষাকে সঠিকভাবে ব্যবহার ও প্রয়োগ করতে পারে, সেদিকে গুরুত্ব দিতে হবে। এক্ষেত্রে একটা কথা মনে রাখা দরকার যে, ব্যাকরণের নিয়ম শিখন শিক্ষার্থীর বয়সের উপর নির্ভর করে। অপেক্ষাকৃত উঁচু শ্রেণীর শিক্ষার্থীরা সাধারণ নিয়মকেন্দ্রিক হয়। সুতরাং তাদের সেভাবে শেখাতে হবে।

ভাষার বৃত্তির(Function of Language) প্রতি নজর:

এই বিষয়ে বিস্তারিত আলোচনা ‘ভাষার বৃত্তি‘ অধ্যায় দেওয়া হয়েছে।

ভাষার গঠন প্রকৃতি সম্বন্ধে শিক্ষা দেওয়া:কোনো একটি নির্দিষ্ট ভাব বা ধারণা বিভিন্নভাবে প্রকাশ করা যায়। এইজন্য ভাষার গঠন-প্রকৃতি জানাটা জরুরি। উদাহরণ হিসেবে বলা যায় যে, ‘অনুরোধ’ জানানোর বিভিন্ন দিক আছে। যেমন– 1. ভিতরে আসবো, স্যার?2. আমি কি ভিতরে আসতে পারি, স্যার? 3. আপনি যদি কিছু মনে না করেন, তাহলে আমি ভিতরে আসব, স্যার? 4. অনুগ্রহ করে আমাকে ভিতরে আসার অনুমতি দেবেন, স্যার?- ইত্যাদি।

এক্ষেত্রে প্রাথমিক পর্যায়ে পর্যায়ের শিক্ষার্থীদের প্রচলিত রীতির গঠন-প্রকৃতিটি কেবল বারবার সহজ ভাষায় শেখাতে হবে।

ভুল সংশোধনের সংবেদনশীল হওয়া: ভুল অর্থাৎ ভুল করা ভাষা শিক্ষার ক্ষেত্রে একটি অতি সাধারণ ঘটনা। ভাষা শিখনের ক্ষেত্রে ভুল হবেই। প্রত্যেক ক্ষেত্রে প্রতিটি ভুল সংশোধনের প্রয়োজন নেই। এক্ষেত্রে শিক্ষককে সংবেদনশীল হতে হবে। শিক্ষক নির্বাচন করবেন কোন ভুলটি তিনি সংশোধন করবেন। শিক্ষার্থী কিছু বলার সময় বা পড়ার সময় যদি কোনো ভুল করে, তবে শিক্ষক তাকে সেই সময় থামিয়ে দিয়ে ভুলটি সংশোধন করে দেবেন না। শিক্ষার্থীর বলা বা পড়া শেষ হওয়া পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হবে। মনে রাখতে হবে, ভুল করা মানুষের ক্ষেত্রে একটি স্বাভাবিক ও অনিবার্য ঘটনা।

ফিরে দেখার সময় নতুন বিষয়ের শিক্ষা: যেকোনো শিখন বা শিক্ষণের ক্ষেত্রে পর্যালোচনা বা ফিরে দেখা অতি কার্যকরী পন্থা। এই পর্যালোচনার সময় শিক্ষক কোনো নতুন বিষয় শিক্ষা দিতে পারেন। একটি উদাহরণ দেওয়া যাক-

ঘটমান বর্তমান কালের অন্য একটি ব্যবহারিক দিক আছে, যেমন- 1. আমি কলকাতা যাচ্ছি। 2. আমি আগামীকাল কলকাতা যাচ্ছি।

এই দুটি বাক্যের গঠন-প্রকৃতি এক, কিন্তু দ্বিতীয় বাক্যের ব্যবহারিক দিকটি আলাদা। এক্ষেত্রে শিক্ষক একই সঙ্গে বাক্যের দুই বা তার বেশি ব্যবহার শেখাবেন না। পর্যালোচনার সময় তিনি বাক্যের অন্য ব্যবহারিক দিক (উদাহরণের দ্বিতীয় বাক্য) শেখাবেন।

শ্রেণিকক্ষে সবাইকে সমান সুযোগ দেওয়া: যেকোনো শ্রেণীতে বিভিন্ন মেধা সম্পন্ন শিক্ষার্থী থাকে। বেশিরভাগ শিক্ষার্থী গড় মানের হয়। তবে কেউ কেউ অনেকখানি পিছিয়ে থাকে, আবার কেউ কেউ বেশ কিছুটা এগিয়ে থাকে। শ্রেণিকক্ষে পঠন পাঠনের সময় শিক্ষক অতি অবশ্যই সবাইকে সুযোগ দেবেন। একচেটিয়া ভাবে কেবল এগিয়ে থাকা শিক্ষার্থী সুযোগ পাবে, এমনটা যেন না হয়। তবে এই ধরনের এগিয়ে থাকা শিক্ষার্থীদের উৎসাহ দেওয়ার জন্য বা তাদের শেখার ইচ্ছাটাকে জাগিয়ে রাখার জন্য শিক্ষক তাদের আলাদা কাজ দিতে পারেন।

শ্রেণিকক্ষকে প্রাণবন্ত রাখা: শ্রেণীকক্ষকে প্রাণবন্ত রাখা শিক্ষণের অন্যতম নীতি। এই কারণে পঠন-পাঠনে বৈচিত্র রাখা দরকার। একঘেয়ে পাঠদান থেকে বিরত থাকতে হবে। মনে রাখতে হবে, শ্রেণিকক্ষে শিক্ষার্থীদেরও স্বাধীনতা আছে। কোন পঠন-পাঠনে যদি তারা উৎসাহ না পায়, তবে সেই সময়ের জন্য ওই পঠনপাঠন বন্ধ করে দিতে হবে। তবে এই সময় ভাষা সংক্রান্ত কোনো খেলার সুযোগ দেওয়া যেতে পারে।

উদাহরণের ব্যবহার: ভাষা শিক্ষণের সময় উদাহরণ দেওয়া আবশ্যিক, যে কোন বিষয়ের বিশ্লেষণ বা ব্যাখ্যার তুলনায় উদাহরণ অনেক বেশি ফলদায়ক।

প্রাসঙ্গিক (Contextual) শিখন: শ্রেণিকক্ষের সমস্ত পঠন-পাঠন বা ক্রিয়া-কলাপ যেন অর্থপূর্ণ হয়। বিষয় যাই হোক না কেন, শিক্ষার্থীরা যা শুনবে তা যেন তারা বুঝতে পারে। শব্দভাণ্ডার, ব্যাকরণ বা উচ্চারণ বৈশিষ্ট্য ইত্যাদি বিষয়গুলির আলোচনা প্রাসঙ্গিক হতে হবে। যেমন- শব্দভাণ্ডার পড়ানো সময় শব্দের অর্থ ও উচ্চারণ বৈশিষ্ট্যও শেখাতে হবে। কথ্যভাষার রীতি পড়ানোর সময় কোন সংলাপ বা ক্ষুদ্র উপাখ্যান বা জীবনকাহিনী পড়াতে হবে।

শ্রেণিকক্ষে কাজ দেওয়া: শিক্ষক অবশ্যই শ্রেণীকক্ষে শিক্ষার্থীকে কাজ দেবেন, তবে এই কাজ যেন বৈচিত্র্যপূর্ণ হয়।

আত্মবিশ্বাস ও সাফল্যের অনুভব দেওয়া: আত্মবিশ্বাস যে কোন কাজকে আরো সামনের দিকে এগিয়ে নিয়ে যায়। উৎসাহ ও সাফল্যে আত্মবিশ্বাস বেড়ে যায়, তাই শিক্ষক শিক্ষার্থীদের আত্মবিশ্বাস ও সাফল্যের অনুভব দেবেন। মূল্যায়নের সময় যেসব শিক্ষার্থী সাফল্যের একেবারে দোরগোড়ায় এসে পড়বে, শিক্ষক তাদের অবশ্যই পাস করিয়ে দেবেন।

সঠিক মূল্যায়ন পদ্ধতি প্রয়োগ করা: যে কোনো শিখনের ক্ষেত্রে মুলান একটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। তবে মূল্যায়ন যেন সঠিক হয় এবং সঠিক সময়ে হয়, সেই দিকে লক্ষ্য দেওয়া প্রয়োজন। শিক্ষার্থীকে ভালোভাবে না শিখিয়ে কখনোই তার মূল্যায়ন করা উচিত নয়। মনে রাখতে হবে, ত্রুটিপূর্ণ শিক্ষণ এবং ত্রুটিপূর্ণ মূল্যায়নে শিক্ষার্থী পিছিয়ে যায়। ইংরেজিতে একটি কথা প্রচলিত আছে, “Teach well before you test” (পরীক্ষা নেওয়ার আগে ভালোভাবে পাঠদান করুন)।

শিক্ষক সহায়ক উপকরণের ব্যবহার: প্রচলিত শিক্ষা সহায়ক উপকরণ ছাড়াও আধুনিক শিক্ষা সহায়ক উপকরণ গুলি ব্যবহার করতে হবে। ভাষা শিক্ষার ক্ষেত্রেও Audio-visual teaching aids খুব ভালো ফল দেয়।

    ⇐নীচে pdf এর লিংক টি শেয়ার করা হল⇒

  • File Name:- ভাষা শিক্ষণের নীতি
  • No.of Page:- 
  • Location:- Google Drive
  • Download Link:- [Download]

 

 

Leave a comment