পরিবেশ শিক্ষার ও সমন্বিত পরিবেশ শিক্ষার তাৎপর্য || EVS Pedagogy

পরিবেশ শিক্ষার ও সমন্বিত পরিবেশ শিক্ষার তাৎপর্য || EVS Pedagogy

EVS Pedagogy

পৃথিবীকে মানুষের এবং অন্যান্য জীবের বসবাসের উপযোগী করে রাখার জন্য কি কি পদক্ষেপ নেওয়া প্রয়োজন তা পরিবেশ শিক্ষা ও সমন্বিত পরিবেশ শিক্ষার মাধ্যমে জানা যায়। পরিবেশ শিক্ষা ও সমন্বিত পরিবেশ জ্ঞান পৃথিবীতে মানুষকে তার অস্তিত্ব বজায় রাখার ক্ষেত্রে বিশেষভাবে সহায়তা করে। এখানে পরিবেশ শিক্ষার ও সমন্বিত শিক্ষার তাৎপর্য ও উপযোগিতা উল্লেখ করা হলো-

1. জীব বৈচিত্র্য সম্পর্কে জ্ঞান লাভ।
2. সম্পর্ক নিরূপণ।
3. গঠনগত অভিযোজন সম্পর্কে ধারণা লাভ।
4. মানুষ পরিবেশ সম্পর্ক স্থাপন।
5. জীবজগতের উদ্ভবের জ্ঞান লাভ।
6. মানুষের দ্বারা পরিবেশের ক্ষতি সম্পর্কে জ্ঞান লাভ।
7. দূষণের কারণ সম্পর্কে জ্ঞান অর্জন।
8. প্রাকৃতিক দুর্যোগ সম্পর্কে জ্ঞান আহরণ।
9. জনস্বাস্থ্যের মান উন্নয়ন।

সমন্বিত বা সাঙ্গীকৃত পরিবেশ পাঠ:

প্রচলিত তত্ত্বগত শিক্ষা অপেক্ষা মানব জীবনের সঙ্গে সমন্বিত শিক্ষা বা সাঙ্গীকৃত শিক্ষা শিক্ষার্থীর পক্ষে অনেক বেশি সার্থক। পরিবেশ পাঠের ক্ষেত্রেও এটি বিশেষভাবে প্রযোজ্য। পরিবেশ পাঠের বিচ্ছিন্ন ভাষা ভাসা জ্ঞান শিক্ষার্থীকে কর্ম বিমুখ করে তোলে, শিক্ষার্থীর স্বাভাবিক আগ্রহকে কেন্দ্র করে সমন্বিত পদ্ধতিতে পরিবেশ শিক্ষার পাঠদান করলে জ্ঞান দীর্ঘকাল স্থায়ী হয়।

পরিবেশের শিক্ষার পাঠক্রম প্রণয়ন:

পরিবেশ শিক্ষার জন্য শিক্ষার, বিভিন্ন স্তরে বিভিন্ন ধরনের পাঠক্রম প্রণয়ন করা হয়। যেমন-

প্রাথমিক স্তর: মূলত সঞ্চালন মূলক ও জ্ঞানমূলক বিষয় পাঠক্রমে রাখা হয়। এটিকে পরিবেশ সচেতনতা বৃদ্ধির কর্মসূচি হিসেবে দেখা হয়। এক্ষেত্রে সুস্বাস্থ্য এবং স্বাস্থ্য সচেতনতা গড়ে তোলার দিকে নজর দেওয়া হয়।

মাধ্যমিক স্তর: মূলত পরিবেশ সম্পর্কিত বোধমূলক, প্রয়োগমূলক ও দক্ষতামূলক বিষয় ও আলোচনা পাঠক্রমে অন্তর্ভুক্ত করা হয়। শিক্ষার্থীদের বাস্তব জীবনের সঙ্গে সম্পর্কিত পরিবেশের উপাদান গুলির প্রতি নজর দেওয়া হয়।

উচ্চ মাধ্যমিক স্তর: মূলত প্রয়োগমূলক, বিশ্লেষণমূলক ও দক্ষতামূলক বিষয় ও আলোচনা পাঠক্রমে রাখা হয়।

মহাবিদ্যালয় ও বিশ্ববিদ্যালয় স্তর: মূলত বিশ্লেষণ, সংশ্লেষণ, মূল্যায়ন ও দক্ষতামূলক বিষয় ও আলোচনা পাঠক্রমে রাখা হয়।

Leave a comment