পশ্চিমবঙ্গের বৃহত্তম, উচ্চতম, দীর্ঘতম PDF || Highest Longest Biggest in West Bengal PDF

Table of Contents

পশ্চিমবঙ্গের বৃহত্তম, উচ্চতম, দীর্ঘতম PDF || Highest Longest Biggest in West Bengal PDF

Highest Longest Biggest in West Bengal PDF

 

পশ্চিমবঙ্গের উচ্চতম পর্বত শৃঙ্গ/পশ্চিমবঙ্গের উচ্চতম স্থান: সান্দাকফু

• সান্দাকফু বা সান্দাকপুর (৩,৬৬৫ মিঃ/১১,৯৩০ ফুট) নেপালের ইলাম জেলা এবং ভারতের পশ্চিমবঙ্গের সর্বোচ্চ পর্বত শৃঙ্গ।

• এটি পশ্চিমবঙ্গ-নেপাল সীমান্তের দার্জিলিং জেলার সিঙ্গালিলা পর্বতের সর্বোচ্চ শিখর।

পশ্চিমবঙ্গের উচ্চতম রেল স্টেশন: ঘুম রেলটেশন, দার্জিলিং:

• ঘুম ভারতের পশ্চিমবঙ্গের দার্জিলিং হিমালয়ান পার্বত্য অঞ্চলের একটি ছোট্ট পার্বত্য অঞ্চল।

• দার্জিলিং হিমালয়ান রেলওয়ের ঘুম রেলটেশন ভারতের সর্বোচ্চ রেলস্টেশন। এটি ২,২৫৮ মিটার (৭,৪০৭ ফুট) এর উচ্চতায় অবস্থিত।

• ১৯৯৯ সালের ডিসেম্বরে দার্জিলিং হিমালয়ান রেলপথ (DHR) ইউনেস্কো ওয়ার্ল্ড হেরিটেজ সাইটের মর্যাদা লাভ করে।

• ঘুম রেলটেশন সহ সমগ্ৰ দার্জিলিং হিমালয়ান রেলপথটি ন্যারোগেজ রেলপথ (২ ফুট ৬১০ মিমি)।

পশ্চিমবঙ্গের দীর্ঘতম প্লাটফর্ম: খড়গপুর জংশন

• পশ্চিমবঙ্গের দীর্ঘতম প্লাটফর্মটি রয়েছে খড়গপুর জংশন স্টেশনে (Kharagpur Junction)।

• এই প্লাটফর্মটি ২০১৩ সালের আগে বিশ্বের দীর্ঘতম প্লাটফর্ম ছিল।

• খড়গপুর জংশনের প্লাটফর্মটির দৈর্ঘ্য ১০৭২.৫ মিটার।

• কর্নাটকের হুব্বলি শ্রী সিদ্ধারুদা রেলওয়ে স্টেশনে বিশ্বের দীর্ঘতম রেলওয়ে প্লাটফর্ম। এই প্লাটফর্মটির দৈর্ঘ্য ১৫০৭ মিটার।

• উত্তরপ্রদেশের গোরখপুর প্লাটফর্মটি ১,৩৬৬.৩৩ মিটারে দ্বিতীয় দীর্ঘতম, এবং কেরালার কোল্লাম জংশন ১,১৮০.৫ মিটারে তৃতীয় দীর্ঘতম প্ল্যাটফর্ম।

পশ্চিমবঙ্গের বৃহত্তম রেল স্টেশন: হাওড়া রেলস্টেশন 

• পশ্চিমবঙ্গের বৃহত্তম রেল স্টেশন হল হাওড়া রেল স্টেশন (Howrah Junction)। ভারতের প্রাচীনতম এবং বৃহত্তম রেলওয়ে কমপ্লেক্স।

• ১৮৫৮ সালের ১৫ই আগস্টে এই স্থান থেকে পূর্ব ভারতে প্রথম ট্রেন চলে।

• এই স্টেশনে বর্তমানে ২৩ টি প্ল্যাটফর্ম ব্যবহার করা হচ্ছে।

• এটিকে পশ্চিমবঙ্গের ব্যস্ততম রেলওয়ে স্টেশন বলা হয়।

পশ্চিমবঙ্গের উচ্চতম স্তম্ভ: শহীদ মিনার

• শহীদ মিনার ধর্মতলার ডাফরিন রোডে অবস্থিত। মিনাটির উচ্চতা ৪৮ মিটার।

• মিনাটির আগের নাম ছিল অকটারলোনি মনুমেন্ট যেটাকে বদলে ৯ আগস্ট ১৯৬৯ সালে এটি ভারতীয় স্বাধীনতা আন্দোলনের শহীদদের স্মৃতিতে পুনঃনিবেদিত হয়েছিল এবং “শহীদ মিনার”, যার অর্থ “শহীদদের স্মৃতিস্তম্ভ” নামকরণ করা হয়েছিল।

পশ্চিমবঙ্গের উচ্চতম স্মৃতিসৌধ : ভিক্টোরিয়া মেমোরিয়াল

• ১৫৪ বিঘার উপরে তৈরি ভিক্টোরিয়া মেমোরিয়াল ২০০ ফুট উচ্চতার সঙ্গে রাজ্যের উচ্চ স্মৃতিসৌধ।

• ভিক্টোরিয়া মেমোরিয়াল হল বা ভিক্টোরিয়া স্মৃতিসৌধ পশ্চিমবঙ্গের কলকাতায় অবস্থিত রানী ভিক্টোরিয়ার একটি স্মৃতিসৌধ।

• শ্বেত পাথরের তৈরি ইংল্যান্ডেশ্বরী মহারানী ভিক্টোরিয়ার নামাঙ্কিত এই স্মৃতিসৌধটি বর্তমানে একটি জাতীয় প্রদর্শনীশালা জাদুঘর এবং কলকাতার অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ পর্যটন আকর্ষণ।

পশ্চিমবঙ্গের উচ্চতম বিল্ডিং: 

• পশ্চিমবঙ্গের উচ্চতম বিল্ডিং হচ্ছে “The 42” ।

• ২৬৮ মিটার উঁচু এই বিল্ডিংটি শুধু রাজ্যেরই নয় পুরো দেশের উচ্চতম বিল্ডিং।

পশ্চিমবঙ্গের উচ্চতম সেতু: রবীন্দ্র সেতু 

• রাজ্যের উচ্চতম সেতু রবীন্দ্র সেতু, সেতুটি হাওড়া ব্রিজ নামে জনপ্রিয়।

• রবীন্দ্র সেতু বিশ্বের ব্যস্ততম সেতুর মধ্যে একটি।

• সেতুটির উচ্চতা ৮২ মিটার বা ২৬৯ ফুট।

• রবীন্দ্র সেতু (পূর্বনাম হাওড়া ব্রিজ) নদীর উপর অবস্থিত কলকাতা ও হাওড়া শহরের মধ্যে সংযোগ রক্ষাকারী সেগুলির মধ্যে অন্যতম।

• ১৮৭৪ সালের প্রথম হাওড়া সেতু নির্মিত হয়। পরে ১৯৪৫ সালে পুরনো সেতুটির বদলে বর্তমান বহির্বাহু সেতুটির উদ্বোধন হয়।

• ১৯৬৫ সালের ১৪ই জুন সেতুটির নাম পরিবর্তন করে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের নামে রবীন্দ্র সেতু রাখা হয়।

পশ্চিমবঙ্গের বৃহত্তম স্টেডিয়াম: 

• পশ্চিমবঙ্গের বৃহত্তম স্টেডিয়াম হচ্ছে বিবেকানন্দ যুব ভারতীয় ক্রীড়াঙ্গন।

• স্টেডিয়ামটি কলকাতার সল্টলেকে অবস্থিত এটি সল্টলেক স্টেডিয়াম নামেও পরিচিত।

• বর্তমানে ৮৫ হাজার আসন ধারণ ক্ষমতার সঙ্গে স্টেডিয়ামটি রাজ্যের বৃহত্তম এবং গোটা দেশের দ্বিতীয় বৃহত্তম স্টেডিয়াম।

• মাঠের আকৃতি- ১০৫ মিটার × ৬৮ মিটার (৩৪৪ ফুট × ২২৩ ফুট)।

পশ্চিমবঙ্গের বৃহত্তম মেলা:

• গঙ্গাসাগরের মেলা পশ্চিমবঙ্গের বৃহত্তম মেলা।

• কলকাতার দক্ষিণ দিকে ১০৫ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত সাগরদ্বীপ (সাগরদ্বীপ হল গঙ্গার মুখে অবস্থিত দ্বীপ যেখানে হুগলি নদী সাগরে মিশেছে), এখানে প্রতিবছরের জানুয়ারি মাসে এই গঙ্গাসাগর মেলার আয়োজন করা হয়।

• কুম্ভ মেলার পরে গঙ্গাসাগর তীর্থস্থান ও মেলা মানবজাতির দ্বিতীয় বৃহত্তম সমাবেশ।

পশ্চিমবঙ্গের বৃহত্তম বিশ্ববিদ্যালয়:

• কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় হল ভারতের পশ্চিমবঙ্গ রাজ্যের কলকাতার প্রথম তথা অন্যতম প্রধান সরকারি গবেষণা বিশ্ববিদ্যালয়। এটিকে ভারতের অন্যতম শ্রেষ্ঠ রাজ্য গবেষণা বিশ্ববিদ্যালয় মনে করা হয়।

• ১৮৫৭ সালের ২৪ শে জানুয়ারি প্রতিষ্ঠিত এই বিশ্ববিদ্যালয় এশিয়ার প্রাচীনতম বহুমুখী ও ইউরোপীয়-ধাঁচের শিক্ষা প্রতিষ্ঠান।

• ১৮৫৮ সালে বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায় ও যদুনাথ বসু বিশ্ববিদ্যালয় থেকে প্রথম স্নাতক হন।

• ১৮৮২ সালে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রথম মহিলা স্নাতক কাদম্বিনী গঙ্গোপাধ্যায় ও চন্দ্রমুখী বসু।

• কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রথম আচার্য ও উপাচার্য ছিলেন যথাক্রমে গভর্নর জেনারেল লর্ড ক্যানিং ও সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি স্যার উইলিয়াম কোলভিল।

পশ্চিমবঙ্গের দীর্ঘতম সড়ক সেতু:

• দীর্ঘতম সড়ক সেতু হলো জয়ী সেতু। সেতুটির ভিত্তি প্রশ্ন স্থাপন করেছিলেন ২০১৫ সালে পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জি।

• সেতুটি উদ্বোধন করা হয়েছে ২০২১ সালের ১লা ফেব্রুয়ারি তারিখে।

• পশ্চিমবঙ্গের দীর্ঘতম সেতুটির দৈর্ঘ্য প্রায় ২৭০৯ মিটার বা ১.৬৮৩২ মাইল, যা পূর্ববর্তী দীর্ঘতম সেতু ফারাক্কা ব্রিজ এর থেকে প্রায় ৫০০ মিটার বেশি দীর্ঘ।

• জয়ী সেতুটি কোচবিহার জেলার তিস্তা নদীর উপর অবস্থিত বা নির্মাণ করা হয়েছে।

পশ্চিমবঙ্গের বৃহত্তম রেল সেতু/ দীর্ঘতম বাঁধ ফারাক্কা বাঁধ 

• ফারাক্কা বাঁধ গঙ্গা নদীর উপর অবস্থিত একটি বাঁধ।

• ভারতের পশ্চিমবঙ্গ রাজ্যের মালদহ ও মুর্শিদাবাদ জেলায় এই বাঁধটি অবস্থিত

• ১৯৬১ সালে এই বাঁধ নির্মাণের কাজ শুরু হয়। শেষ হয় ১৯৭৫ সালে। সেই বছর ২১ এপ্রিল থেকে বন্ধ চালু হয়।

• ফারাক্কা বাঁধ ২,২৪০ মিটার (৭,৩৫০ ফুট) লম্বা।

• বাঁধটিতে মোট ১০৯ টি গেট রয়েছে।

• ফারাক্কা তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রে এই বন থেকে জল সরবরাহ করা হয়।

পশ্চিমবঙ্গের বৃহত্তম বিমানবন্দর:

• নেতাজি সুভাষ চন্দ্র বোস আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর পশ্চিমবঙ্গের বৃহত্তম বিমানবন্দর।

• নেতাজি সুভাষচন্দ্র বোস আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর ভারতের পশ্চিমবঙ্গের দমদমে অবস্থিত একটি আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর, যা মূলত কলকাতা মহানগর অঞ্চলে পরিষেবা প্রদান করে।

• ১৯৯৫ সালে ভারতের স্বাধীনতা আন্দোলনের এক বিশিষ্ট নেতা নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসুর নামে বিমানবন্দরটি নামকরণের পূর্বে এটি দমদম বিমানবন্দর নামে পরিচিত ছিলো, যদিও স্থানীয়ভাবে এটি কলকাতা বিমানবন্দর নামে অধিক পরিচিত।

পশ্চিমবঙ্গের বৃহত্তম ইস্পাত কারখানা: দূর্গাপুর ইস্পাত কারখানা

• দুর্গাপুর ইস্পাত কারখানা হলো ভারতের পশ্চিমবঙ্গ রাজ্যের শিল্প শহর দুর্গাপুরে অবস্থিত একটি বৃহত্তম ইস্পাত কারখানা।

• এই কারখানাটি রাষ্ট্রায়াত্ব সংস্থা সেল এর নিয়ন্ত্রণাধীন।

• ভারত স্বাধীনতা অর্জনের পর দ্বিতীয় পঞ্চবার্ষিকী পরিকল্পনায় দুর্গাপুর ইস্পাত কারখানা গড়ে ওঠে।

পশ্চিমবঙ্গের দীর্ঘতম জাতীয় সড়ক: গ্ৰ্যান্ড ট্রাঙ্ক রোড (২ নং জাতীয় সড়ক)

• গ্র্যান্ড ট্রাঙ্ক রোড এশিয়ার অন্যতম প্রাচীন ও দীর্ঘতম সড়ক পথ।

• এটি বাংলাদেশের নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁও থেকে শুরু হয়ে পশ্চিমবঙ্গের হাওড়া হয়ে পাকিস্তানের পেশাওয়ারের মধ্য দিয়ে আফগানিস্তানের কাবুল পর্যন্ত পৌঁছায়।

পশ্চিমবঙ্গের বৃহত্তম সড়কসেতু: শরৎ সেতু/কোলাঘাট ব্রিজ

• কোলাঘাট শহর রূপনারায়ন নদের তীরে অবস্থিত।

• কোলাঘাট স্বর্ণ চতুর্ভুজ এর উপর অবস্থিত।

• এই শহর ডানকুনি থেকে ৫৪.৪ কিলোমিটার ও খড়গপুর থেকে ৬০.৪৫ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত।

পশ্চিমবঙ্গের বৃহত্তম মসজিদ: নাখোদা মসজিদ 

• নাখোদা মসজিদ পশ্চিমবঙ্গ এবং পূর্ব ভারতের বৃহত্তম মুসলিম মসজিদ।

• মসজিদটিতে তিনটি গম্বুজ এবং দুটি মিনা রয়েছে যা ১৫১ ফুট উঁচু।

• এখানে একটি অতিরিক্ত ২৫টি ছোট মিনার রয়েছে যা ১০০ ফুট থেকে ১১৭ ফুট উঁচু।

পশ্চিমবঙ্গের বৃহত্তম গ্রন্থাগার: জাতীয় গ্রন্থাগার, আলিপুর

• জাতীয় গ্রন্থাকার ভারতের বৃহত্তম গ্রন্থাগার তথা দেশের সরকারি দলিলের রক্ষণাগার।

• এই গ্রন্থাগারটি কলকাতার বেলভেডিয়ার এস্টেটে অবস্থিত।

• ১৮৩৬ সালে ক্যালকাটা পাবলিক লাইব্রেরী নামে প্রথম এই গ্রন্থাগারটি প্রতিষ্ঠিত হয়।

• সেই সময় এটি ছিল একটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠান।

FAQ:

1. পশ্চিমবঙ্গের সর্বোচ্চ শৃঙ্গের নাম কী?

উঃ-পশ্চিমবঙ্গের সর্বোচ্চ শৃঙ্গের নাম সান্দাকফু।

2. পশ্চিমবঙ্গের উচ্চতম রেল স্টেশন ঘুম রেলওয়ে স্টেশন কত সালে ইউনেস্কো ওয়ার্ল্ড হেরিটেজ সাইটে মর্যাদা পায়?

উঃ- ১৯৯৯ সালে।

3. পশ্চিমবঙ্গের উচ্চতম স্তম্ভ হলো শহীদ মিনারের উচ্চতা কত?

উঃ- ৪৮ মিটার।

4. ভারতের বৃহত্তম রেলওয়ে কমপ্লিট কোনটি?

উঃ- হাওড়া স্টেশন।

5. পশ্চিমবঙ্গের দীর্ঘতম প্লাটফর্ম কোনটি?

উঃ- খড়গপুর রেলওয়ে স্টেশন।

6. পশ্চিমবঙ্গের উচ্চতম সেতু হাওড়া ব্রিজ কোন নদীর উপর গড়ে উঠেছে?

উঃ- হুগলি।

 

প্রতিদিন এই ধরনের পোস্ট পেতে আমাদের হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপেটেলিগ্ৰাম চ্যানেলে যুক্ত হয়ে যান 

 

  আরও পড়ুন:- ভারতের সংবিধানের খসড়া কমিটি ও প্রস্তাবনা গঠন সম্পর্কিত বিস্তারিত আলোচনা 

 

Leave a comment