ভারতীয় সংবিধানের খসড়া কমিটি ও প্রস্তাবনা গঠন সম্পর্কিত বিস্তারিত আলোচনা || Preamble of Indian Constitution

ভারতীয় সংবিধানের খসড়া কমিটি ও প্রস্তাবনা গঠন সম্পর্কিত বিস্তারিত আলোচনা || Preamble of Indian Constitution

 

Preamble of Indian Constitution

• সংবিধানের একটি নমুনা বা খসড়া, প্রস্তুত করার উদ্দেশ্যে কমিটি গঠন করা হয়। এই খসড়া কমিটির হাতে সংবিধানের চূড়ান্ত রূপ দেওয়ার দায়িত্ব অর্পণ করা হয়।

• ১৯৪৭ সালের ২৯ আগস্ট ড. বি আর আম্বেদকরণের নেতৃত্বে খসড়া কমিটি গঠিত হয়।

• খসড়া কমিটি (Drafting Committee) এর সভাপতি ছিলেন ডঃ বি আর আম্বেদকর।

• কমিটির সদস্য ছিলেন এন. গোপাল গোস্বামী আয়েঙ্গার, আহ্লাদী কৃষ্ণস্বামী আয়ার, কে. এমমুন্সি, ডি. পি. মৈতান ও বি.এল.মিত্র প্রমূখ।

• খসড়া কমিটিতে মোট ৭ জন সদস্য ছিল।

• ভারতের সংবিধান ভারতীয় প্রজাতন্ত্রের সর্বোচ্চ আইন। এই সংবিধানে সরকারের গঠন, কার্যপদ্ধতি, ক্ষমতা ও কর্তব্য নির্ধারণ, মৌলিক অধিকার, রাষ্ট্রপরিচালনার নির্দেশমূলক নীতি এবং নাগরিক কর্তব্য বর্ণিত রয়েছে।

• ১৯৪৯ সালে ২৬ শে নভেম্বর গৃহীত হওয়ার পর ১৯৫০ সালের ২৬ শে জানুয়ারি এই সংবিধান কার্যকরী হয়।

• ভারতের সংবিধানের প্রস্তাবনা হলো সংবিধানের মুখবন্ধ বা ভূমিকা। ভারতের সংবিধানের প্রস্তাবনার জনক পন্ডিত জওহরলাল নেহেরু।

• ১৯৪৬ সালের ২৬ শে নভেম্বর গণপরিষদে তিনি ভারতের সংবিধানের লক্ষ্যসম্বলিত যে প্রস্তাব উপস্থাপন করেছিলেন; তারই পরিবর্তিত রূপ হলো বর্তমান ভারতের সংবিধানের প্রস্তাবনা।

• ভারতের সংবিধান প্রস্তাবনা মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের অনুকরণের গৃহীত হয়েছে।

• ১৯৭৬ সালের ৪২ তম সংবিধান সংশোধনী দ্বারা ভারতীয় সংবিধানের প্রস্তাবনা সংশোধনী করা হয়েছে।

• ৪২ তম সংবিধান সংশোধনী দ্বারা ভারতীয় সংবিধানের প্রস্তাবনায় সমাজতান্ত্রিক, ধর্মনিরপেক্ষ সংহতি শব্দ যুক্ত করা হয়েছে।

• এখনও পর্যন্ত ভারতের সংবিধানের প্রস্তাবনা ১ বার সংশোধন করা হয়েছে।

• ভারতের সংবিধানের প্রস্তাবনাকে সংবিধানের “আইডেন্টিটি কার্ড” বলে অভিহিত করেছেন এন. পালকিওয়ালা (নানাভয় পালকিওয়ালা)।

• ভারতের সংবিধানের প্রস্তাবনা যখন সংশোধন করা হয়, সেই সময় ভারতের প্রধানমন্ত্রী ছিলেন ইন্দিরা গান্ধী।

• ঠাকুরদাস ভাগর্ব সংবিধানের প্রস্তাবনাকে “Soul of Constitution” বা “সংবিধানের আত্মা” বলে মনে করতেন।

• কেশবানন্দ ভারতীয় মামলায় (১৯৭৩) সুপ্রিম কোর্ট রায় দেয় যে “প্রস্তাবনা হলো ভারতের সংবিধানের একটি অংশ”।

• এর্নেস্ট বার্কার মন্তব্য করেছিলেন যে, “প্রস্তাবনা হলো সংবিধানে প্রবেশের চাবিকাঠি”।

• ভারতের সংবিধানকে “আইনজীবীদের স্বর্গরাজ্য” বলা হয়।

 

প্রতিদিন এই ধরনের পোস্ট পেতে আমাদের হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপেটেলিগ্ৰাম চ্যানেলে যুক্ত হয়ে যান ।

আরও পড়ুন:- ভারতের সংবিধান গণপরিষদ গঠন 

Leave a comment