NCF 2005 অনুযায়ী গণিত শিক্ষণ || Primary tet math Pedagogy pdf part 2

NCF 2005 অনুযায়ী গণিত শিক্ষণ || Primary tet math Pedagogy pdf part 2 

Primary tet math Pedagogy pdf part 2

এন.সি.এফ. (২০০৫) অনুযায়ী গণিত শিক্ষার লক্ষ্য দু ধরনের

a) সংকীর্ণ লক্ষ্য (Narrow Aim): সংকীর্ণ লক্ষ্য হলো, শিক্ষার্থীর মধ্যে সমাজোপযোগী দৈনন্দিন জীবনের উপযোগী এবং অর্থনৈতিক বিকাশের লক্ষ্যে গণিতে কয়েকটি ন্যূনতম বিষয়ের শিক্ষাদানের মধ্যে আছে সংখ্যা ব্যবহার, সংখ্যা লিখতে বলতে পারা। গণিতের কয়েকটি মৌলিক প্রক্রিয়া হল বিভিন্ন রাশির পরিমাপ, ভগ্নাংশ, অনুপাত, শতাংশ। এই লক্ষ্য তাদের কাছে বেশি প্রযোজ্য যারা বিদ্যালয়ের শিক্ষা সম্পন্ন করবে না বা প্রাথমিক বিদ্যালয়ের পরেই বিদ্যালয় ত্যাগ করবে।

b) বৃহত্তর লক্ষ্য (Higher Aim):

1. গণিত শিক্ষার বৃহত্তম লক্ষ্য হলো শিক্ষার্থীর অভ্যন্তরীণ সম্ভাবনার বিকাশ ঘটানো অর্থাৎ সৃষ্টিধর্মী চিন্তার বিকাশ।

2. এই লক্ষ্য হলো গণিতের বিভিন্ন প্রক্রিয়া শিখন এর সাথে সমর্থক। এ প্রক্রিয়া শিখন সম্পন্ন হবে পরিবর্তনশীল নমনীয় ও স্বাধীন পরিবেশে। প্রথাগত শিক্ষা পদ্ধতির মাধ্যমে গণিত শিক্ষার বৃহত্তর লক্ষ্যে উপনীত হওয়া এক রকম প্রায় অসম্ভব।

3. সংকীর্ণ লক্ষ্য থেকে বৃহত্তর লক্ষ্যের দিকে এগিয়ে যাওয়ার প্রচেষ্টা শিক্ষক এবং শিক্ষার্থী উভয়ের মধ্যে থাকবে।

4. প্রাথমিক স্তরের প্রয়োজনীয় গাণিতিক মূল ধারণা গুলি সম্পর্কে জ্ঞান এবং ধারণাগুলো বাস্তব জীবনে প্রয়োগ করার দক্ষতা অর্জন।

5. দ্রুত ও নির্ভুল হিসাব করার দক্ষতা অর্জন: আমাদের জীবন গতিশীল এই গতির সঙ্গে জীবনকে যুক্ত করা হলো শিক্ষার উদ্দেশ্য, প্রতিটি ধারণা দ্রুত করতে হবে শুধু দ্রুত করলে হবে না তার সঙ্গে নির্ভর করতে হবে।

6. যুক্তি ও বিচার শক্তি এবং সমস্যা সমাধানে ক্ষমতার জন্য।

7. ব্যবহারিক উদ্দেশ্য: অংকের ইতিহাস বলে দেখা যায় যে মানুষ ব্যবহারের জীবনের প্রয়োজনের তাগিদেই অংক সৃষ্টি করেছে। আদিম মানুষ থেকে শুরু করে সভ্যতার ক্রম বিবর্তনে মানুষের প্রয়োজন যত বৈচিত্রপূর্ণ হয়েছে গণিতের ব্যবহার ততই ব্যাপকতর রয়েছে।

সেজন্যই L.Hogben বলেছেন “ম্যাথমেটিক্স ইজ দা মিরর অফ সিভিলাইজেশন” অর্থাৎ গণিত হল সভ্যতার আয়না প্রয়োজনের তাগিদে দৈনন্দিন ব্যবহারের জীবনের নানা কাজে গণিত অপরিহার্য।

জ্ঞান অর্জন অপেক্ষা অর্জিত জ্ঞানকে ব্যবহৃত কাজে লাগানো শিক্ষার অন্যতম উদ্দেশ্য। বিভিন্নভাবে গাণিতিক প্রক্রিয়ার জ্ঞানের মূল্য নেই শিক্ষার্থীর জীবনে সমস্যার সমাধানের জ্ঞানকে কাজে লাগানোই গণিতের ব্যবহারিক মূল্য।

8. আবিষ্কার ক্ষেত্রে গণিতের অবদান: নতুন আবিষ্কারের ক্ষেত্রে গণিতের প্রয়োগ অপরিহার্য। Darwin বলেছেন, “Every new body of discovery is mathematical in form” শিক্ষার্থীরা শুধুমাত্র নিষ্ক্রিয় দর্শকের মতো গাণিতিক ধারণা পাবে না। যে সকল ধারণা পূর্বে আবিষ্কৃত হয়েছে শিক্ষার্থীরা নিজেরাই সেগুলি পুনরায় আবিষ্কার করবে। আগে বলা হয়েছে সমস্যা সমাধানের মধ্য দিয়ে গণিতের সার্থক প্রয়োগ হয়। শিক্ষার্থীরা প্রতিটি সমস্যা নিজের চিন্তা করে আবিষ্কার করবার দক্ষতা অর্জন করবে। প্রয়োজন মত শিক্ষকের সাহায্য সে নিতে পারে অর্থাৎ শিক্ষার্থীর আবিষ্কারের দৃষ্টিভঙ্গি গঠন করতে সাহায্য দরকার অপরের চিন্তার ফল সে জানবে এবং সঙ্গে সঙ্গে পর্যবেক্ষণ করার ক্ষমতা চিন্তাশীল হওয়ার ক্ষমতা অর্জন করবে ও নিজের অনুসন্ধান ও গবেষণা করার প্রাথমিক অভ্যাস গঠন করবে।

9. বিদ্যালয়ের শিক্ষার ক্ষেত্রে গণিত শিক্ষার প্রকৃতি উদ্দেশ্য গুলি জানা থাকলে শিক্ষাদান কাজটি সঠিক পদে দিশা পাবে। গণিতের উদ্দেশ্য গুলি হল শিক্ষার্থীদের গণিত শিক্ষার মাধ্যমে ভবিষ্যৎ জীবনের সমস্যা সমাধানের ক্ষেত্রে দ্রুত ও নির্ভুল সিদ্ধান্ত নেওয়ার ক্ষমতা তৈরি হয়।

10. গণিত চর্চার মাধ্যমে যুক্তিসম্মত চিন্তা করার সামর্থ্য অর্জন এবং যুক্তি নির্মাণ মানসিকতা ও বৈজ্ঞানিক দৃষ্টিভঙ্গি গড়ে তোলে।

11. শিক্ষার্থীদের নিজস্ব পারিবারিক ও সামাজিক ক্ষেত্রে উদ্ভূত সমস্যাগুলিকে গাণিতিক ভাষার রূপদান করতে ও সমাধান করতে শেখা।

12. যুক্তিপূর্ণ সিদ্ধান্ত গঠন সমস্যার বিশ্লেষণ ও মৌলিক সম্পর্ক নির্ণয়, মৌলিক চিন্তা গঠন, সংজ্ঞামূলক চিন্তা ও সাধারণ বুদ্ধির প্রয়োগের ক্ষমতার জোর এবং বিশেষ বিশেষ ধারণা সঠিক সমাধান করার জন্য গণিত অপরিহার্য।

গণিত পড়ানোর মূল উদ্দেশ্য: প্রাথমিক স্তরে সংখ্যার সমন্বিত বিষয়ে ধারণা এবং বিভিন্ন রকম মাপ এবং একক সম্বন্ধে জ্ঞান দেওয়া মুহূর্ত থেকে বিমূর্ত ধারণার বিকাশ করা শিশুদের চিন্তা ভাবনায় গণিতিক বিষয়টিকে নিয়ে আসতে হবে। দৈনন্দিন জীবনে ডেইলি লাইফের সঙ্গে গণিত বিষয়টিকে সংযোগ স্থাপন করতে হবে। অংক বিষয়টিকে বাচ্চারা যাতে ভয় না পায় সে বিষয়ে খেয়াল রাখতে হবে অর্থাৎ মজার ছলে অংক শেখাতে হবে ডক্টর ডেবিট হুইলার বলেন অনেক অনেক অংক পড়ার থেকেও বেশি গুরুত্বপূর্ণ অংকটাকে বাস্তবে এপ্লাই করা, ছাত্র-ছাত্রীর চিন্তাভাবনায় গাণিতিক চিন্তাভাবনার বিকাশ ঘটানো যাতে তারা অংকটাকে রিয়েল লাইফের সাথে কানেক্ট করতে পারে। মনে রাখবে: পরীক্ষায় যে কোন অপশনে যদি রিয়েল লাইফ বাস্তব জীবনে অঙ্কে প্রয়োগ এমন কিছু পাও তাহলে সেই অপশন ঠিক হওয়ার সম্ভাবনা সব থেকে বেশি। কোনোভাবেই মুখস্ত বিদ্যা বা ভয় দেখিয়ে পড়ানোর অভ্যাস কোনদিন সঠিক পদ্ধতি হতে পারে না।

NCF(National Curriculum Frame Work):

সেভ অনুযায়ী বাস্তব জীবনের সঙ্গে বাচ্চাদের অংক শেখাতে হবে, বাচ্চাদের বিভিন্ন রকম অ্যাক্টিভিটির মাধ্যমে অংক শেখাতে হবে, বাচ্চাদের অংক শেখানোর ফাঁকে ফাঁকে অবসর দিতে হবে।অংক বিষয়টি ছেলেমেয়ে উভয়ের জন্য সম গুরুত্বপূর্ণ অর্থাৎ লিঙ্গ ভেদাভেদ এখানে নেই, বাচ্চাদের ভয় দেখে পড়ানো যাবে না, বাচ্চাদের মধ্যে যুক্তি তর্ক দিয়ে বোঝার ক্ষমতা বিষয়টিকে গুরুত্ব দিতে হবে। কুইজ, ম্যাথ ম্যাজিক, অর্থাৎ বাচ্চারা আনন্দের সাথে ভালোবেসে অংক বিষয়টি করতে পারে সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে।

ছাত্র-ছাত্রীদের চিন্তাভাবনাকে লজিক্যাল করতে হবে অর্থাৎ কি কেন কি জন্য এই চিন্তা ভাবনা গুলো করে তুলতে হবে । ছাত্র-ছাত্রীরা যাতে অংকের বেশি জিনিসটা বুঝতে পারে যেমন অংকের বিভিন্ন বিভাগ- পাটিগণিত, বীজগণিত, ত্রিকোণমিতি, পরিমিতি সেগুলি আলোচনার বিষয়ের আনতে হবে।

NCF 2005 অনুযায়ী প্রাইমারি লেবেলে উদ্দেশ্য গুলি হল ছাত্র-ছাত্রীদের মধ্যে বেশি ক্যালকুলেশনের ধারণা তৈরি করতে হবে অর্থাৎ প্রত্যেক জীবনে যেগুলি কাজে লাগে।

UEE(Universalisation of elementary education):

UEE অনুযায়ী ৬ থেকে ১৪ বছর বয়সের প্রত্যেক বাচ্চাদের মধ্যে শিক্ষার আলো পৌঁছাতে হবে।

Class(l-V) স্তরের বাচ্চাদের মুর্ত থেকে ক্রমশ বিমুর্ত ধারণার জ্ঞান দিতে হবে।

বাচ্চাদের উৎসাহিত করতে হবে যেমন বিভিন্ন আকার আকৃতি প্যাটার্ন মাপজোক তথ্য সম্বন্ধিত বিষয় গুলি চোখে দেখে শিখতে পারবে। এছাড়া তথ্য সম্বন্ধিত বিষয়ক তাদেরকে জ্ঞান দিতে হবে।

Concept mapping:

আগে যা পড়া হয়েছে তার সঙ্গে মিল করে বা সংযোগ ঘটিয়ে পড়াতে বা পড়তে সাহায্য করে। এর দ্বারাই অনেক জিনিসকে একটি ছোট এলাকায় লিপিবদ্ধ করে মনে রাখতে সাহায্য করে, কঠিন জিনিসকে সহজ করে তোলে।

(0 level visualization):

বিভিন্ন ওরকম চিত্র দেখে ছাত্রদের মনে ধারণা তৈরি করতে হবে। কোনটা ত্রিভুজ, কোনটি চতুর্ভুজ, কোনটা বৃত্ত অর্থাৎ একদম বেসিক জিনিসগুলি এই লেভেলের বোঝাতে হবে। এবং তার সাথে তাদের কার কি বৈশিষ্ট্য সেগুলি বোঝাতে হবে।

(1 level visualization):

এই লেভেলে বিভিন্ন জ্যামিতির চিত্র দেখে চেনার সঙ্গে সঙ্গে কোনটার কি বিশেষ ধর্ম সেটা জানবে যেমন-চতুর্ভুজের মধ্যে কতগুলি ভাগ আছে, কোনটা কোন ধরনের চতুর্ভুজ, কোনটির আয়তক্ষেত্র, কোনটি বর্গক্ষেত্র, কোনটি রম্বস, কোনটি সামন্তরিক ইত্যাদি।

(2 level visualization):

এই লেভেলের সমস্ত ধর্ম জানার সঙ্গে সঙ্গে বিভিন্ন ধর্মের মধ্যে যে রিলেশন সেটাও জানবে যেমন- বৃত্তের ব্যাস ও ব্যাসার্ধের মধ্যে সম্পর্ক পরিসীমা, ক্ষেত্রফল ইত্যাদি।

⇐আরও বিস্তারিত পড়তে pdf টি ডাউনলোড করুন⇒

  • File Name:- NCF 2005 অনুযায়ী গণিত শিক্ষণ
  • No.of Page:- 8
  • Location:- Google Drive
  • Download Link:- [Download]

Leave a comment