ভারতের কৃষিকাজ ও তার বৈশিষ্ট্য লেখ || The Agriculture of India

ভারতের কৃষিকাজ ও তার বৈশিষ্ট্য লেখ || The Agriculture of India

The Agriculture of India:আজ আপনাদের সামনে তুলে ধরা হয়েছে “ভারতের কৃষিকাজ ও তার বৈশিষ্ট্য” সম্পর্কিত কিছু তথ্য। যা খুবই গুরুত্বপূর্ণ, তাই ঝটপট একবার দেখে নিন।

The Agriculture of India

ভারতের কৃষি

কৃষিকাজ অর্থনীতির প্রাথমিক ক্ষেত্রের অন্তর্গত। দুটি ল্যাটিন শব্দ ‘ager’ অর্থাৎ ‘ভূমি’ বা ‘ক্ষেত্র’ এবং ‘culture’ অর্থাৎ ‘কর্ষণ’ থেকে কৃষিকাজ বা ‘Agriculture’ কথাটি এসেছে। ব্যুৎপত্তিগত দিক থেকে কৃষির অর্থ হলো ‘ভূমিকর্ষণ’। ভূমিকর্ষণের মাধ্যমে জমি থেকে ফসল উৎপাদনকে কৃষিকাজ বলে। বর্তমানে পশুপালন, মৎস্য চাষ এবং বৃক্ষরোপণও কৃষির অন্তর্ভুক্ত।

ভারতীয় কৃষির বৈশিষ্ট্য:

ভারতীয় কৃষির বৈশিষ্ট্য গুলি হল-

1. জীবিকা সত্তাভিত্তিক কৃষি: কৃষক পরিবারের প্রয়োজন মেটানোর জন্য কৃষিকাজ করায় ভারতীয় কৃষি জীবিকাসত্তাভিত্তিক চরিত্রের।

2. জনসংখ্যার চাপ: ভারতে প্রায় ১৪১ মিলিয়ন হেক্টর জমিতে কৃষি কাজ হয়। প্রায় ৬৮ কোটি মানুষ প্রত্যক্ষভাবে জমির উপর নির্ভরশীল হওয়ায় ভারতীয় কৃষিতে জনসংখ্যার চাপ বেশি।

3. কৃষিতে পশু শক্তির প্রাধান্য: ভারতীয় কৃষিতে পশু শক্তির সাহায্যে লাঙ্গল চালানো, গাড়ি চালানো এবং ফসলের বীজ আলাদা করার কাজ করা হয়।

4. মৌসুমী বৃষ্টির ওপর নির্ভরশীলতা: দক্ষিণ-পশ্চিম মৌসুমি বায়ু দ্বারা ভারতে বৃষ্টিপাত হয়। ভারতীয় কৃষি মুখ্যত মৌসুমী বৃষ্টিপাত নির্ভর।

5. জলসেচের ব্যবহার: ভারতে সারা বছর কৃষিকাজ চালু রাখতে জলসেচ প্রয়োজন। ভারতে প্রায় ১৪১ মিলিয়ন হেক্টর কৃষিযোগ্য জমির ৫৭ মিলিয়ন হেক্টর কৃষি জমি জলসেচ ব্যবস্থার অধীন।

6. ক্ষুদ্র জমিজোত: ১৯৭০-৭১ সালে ভারতে জোতগুলির গড় মান ছিল ২.২৮ হেক্টর।‌ ১৯৮০-৮১ সালে ১.৮২ হেক্টর এবং ১৯৯৫-৯৬ সালে ক্ষেত্রমান ছিল ১.৫০ হেক্টর। ক্রমবিভাজনের কারণে ধীরে ধীরে জোতের ক্ষেত্রমান ক্রমহ্রাসমান।

7. কীটনাশক ও রাসায়নিক সারের অনিয়ন্ত্রিত ব্যবহার: রাসায়নিক সার ব্যবহারে ভারত তৃতীয়। ২০০৭-০৮ সালে ভারতে ২২.৫৭ মিলিয়ন টন রাসায়নিক সার ব্যবহার করা হয়েছিল। ভারতের কৃষিক্ষেত্রে কীটনাশক ব্যবহারের মাত্রাও বেশি।

8. খাদ্যশস্যের প্রাধান্য: ২০১২-১৩ সালে ভারতে খাদ্যশসের উৎপাদন ছিল ২৫৪০ লক্ষ টন। একই বছরে তৈলবীজ ৩৩৮ লক্ষ টন, ডাল ১৮২ লক্ষ টন উৎপন্ন হয়।

9. পশু খাদ্যের অভাব: ভারতে মাত্র ৮ শতাংশ জমি চরণভূমি। ভারতীয় কৃষিতে আজও পশুপালন গুরুত্ব পাইনি। কেবলমাত্র গুজরাট রাজ্য এর ব্যতিক্রম। রাজ্যটি ভারতের মোট দুগ্ধজাত দ্রব্যের ৬০% এর বেশি উৎপন্ন করে।

10. বহুশস্যের উৎপাদন: একাধিক শস্যের উৎপাদন ভারতীয় কৃষির একটি উল্লেখযোগ্য বৈশিষ্ট্য। পারিবারিক চাহিদা পূরণের তাগিদে বহুশস্যের একসঙ্গে উৎপাদন হয়।

 

Leave a comment