Breaking News: প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগের ফলাফল প্রকাশ হল, এক ক্লিকে দেখে নিন || WB Primary Teachers’ Recruitment Panel
২০২২ সালের প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগের প্যানেল প্রকাশিত হল। সোমবার পশ্চিমবঙ্গের প্রাথমিক পর্ষদকে প্যানেল প্রকাশের নির্দেশ দেয় সুপ্রিম কোর্ট। মোট শূন্যপদের সংখ্যা ছিল ১১,৭৬৫ টি। আর ৯,৫৩৩ জনকে নিয়োগের জন্য যোগ্য বলে বিবেচনা করা হয়েছে। সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশের পরই ২০২২ সালের প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগ এর প্যানেল প্রকাশিত হলো। বুধবার সন্ধ্যার দিকে পশ্চিমবঙ্গ প্রাথমিক শিক্ষক পর্ষদের ওয়েবসাইটে সেই প্যানেল প্রকাশ করা হয়েছে। যে নিয়োগ প্রক্রিয়ার জন্য ৯,৫৩৩ জন প্রার্থীকে যোগ্য বলে বিবেচনা করা হয়েছে। আর মোট শূন্যপদের সংখ্যা হল ১১,৭৬৫ টি। অর্থাৎ আপাতত ২,০০০ পদ ফাঁকা ছিল।
কীভাবে ২০২২ সালের প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগের ফাইনাল দেখবেন?
1. পশ্চিমবঙ্গ প্রাথমিক শিক্ষক পর্ষদের অফিসিয়াল ওয়েবসাইট www.wbbprimaryeducation.org-তে যেতে হবে প্রার্থীদের।
2. হোমপেজ এর উপরের দিকে ‘Notices’ আছে। তাতে ক্লিক করতে হবে প্রার্থীদের। তাহলে একটি নতুন পেজ খুলে যাবে।
3. সেখানে লেখা আছে ‘Notice of West Bengal Board of Primary Education’। সেটার নিচেই ‘Subject’ আছে। তারপর দেখতে পাবেন ‘Declaration/Publication of Statewide Merit List-Primary Teachers’ Recruitment Process-2022’। পাশেই আছে ‘For Details’। যা নীল রঙের চিহ্ন করা হয়েছে, তাতে ক্লিক করতে হবে।
4. তাহলেই একটি পিডিএফ খুলে যাবে তাতে ২০২২ সালের প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগের প্যানেল দেখতে পাবেন। তা ভবিষ্যতের জন্য ডাউনলোড করে রেখে দিন।
এছাড়াও Merit List টি আমাদের হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপে ও টেলিগ্ৰাম চ্যানেলে দেওয়া আছে। সেখানে থেকে ডাউনলোড করে নিন। নীচে হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপে ও টেলিগ্ৰাম চ্যানেলের লিংক দেওয়া আছে।
মোট শূন্য পদের সংখ্যা:
উল্লেখ্য, সোমবার সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতি হিমাংশ কোহলি এবং বিচারপতি আসন উদ্দিন আমানুল্লাহ নির্দেশ দেয় যে ২০২২ সালের প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগ প্রক্রিয়ার প্যানেল প্রকাশ করতে পারবে পশ্চিমবঙ্গ প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদ। সেদিন শীর্ষ আদালতে পর্ষদের তরফে জানানো হয়, মোট ১১,৭৬৫ টি শূন্যপদ আছে। আর নিয়োগের জন্য ৯,৫৩৩ জন যোগ্য প্রার্থী হিসেবে বিবেচিত হয়েছেন। তাদের ২০১৪ সাল এবং ২০১৭ সালের ডিএলএড প্রশিক্ষিত টেট উত্তীর্ণ প্রার্থীরাও আছেন। বাকি যে ২০০০ পদ আছে, তা আপাতত খালি থাকবে বলে জানানো হয়েছে।
এমনিতেই ২০২২ সালের প্রাথমিক নিয়োগ প্রক্রিয়ায় অংশগ্রহণ করেছিলেন বিএড ডিগ্রিধারীরা। কিন্তু তারা প্রাথমিক শিক্ষক হিসেবে নিয়োগের সুযোগ পাবেন কিনা তা নিয়ে তৈরি হয়েছে জটিলতা। সুপ্রিম কোর্ট বলেছিল যে প্রাথমিক শিক্ষক হিসেবে নিয়োগের ক্ষেত্রে তাদের বিবেচনা করা হবে না। তারই মধ্যে ২০১৪ সালের টেট পরীক্ষায় যারা উত্তীর্ণ হয়েছিলেন, তাদের নিয়োগ নিয়েও জটিলতা তৈরি হয়েছিল।
নিয়ম অনুযায়ী, সেই সময় d.el.ed উত্তীর্ণ হওয়া বাধ্যতামূলক ছিল না। পরবর্তীতে তারা ডিএলএড কোর্সে ভর্তি হয়েছিলেন। তবে ২০২২ সালের প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগের বিজ্ঞপ্তি প্রকাশের সময় সার্টিফিকেট না পাওয়ায় তারা কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিলেন। তাতে তাদের জয় হয়েছিল। সেটার বিরুদ্ধে আবার হাইকোর্টে ডিভিশন পেয়েছে মামলা করেছিল ২০১৭ সালের টেটের উত্তীর্ণরা। সেখানে ধাক্কা খাওয়ার পরে সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হয়ে ছিল।
প্রতিদিন এই ধরনের পোস্ট পেতে আমাদের হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপে ও টেলিগ্ৰাম চ্যানেলে যুক্ত হয়ে যান