WBBPE TET Exam Multiple questions are wrong: প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষায় একাধিক প্রশ্ন ভুল! এর উত্তর জানতে চাইলো হাইকোর্ট
অবশেষে পর্ষদের রিপোর্ট জমা পড়ল হাইকোর্টে , 2022 সালের প্রাথমিকের টেট পরীক্ষার প্রশ্ন ভুল নিয়ে। পরীক্ষার প্রতিটি প্রশ্ন ধরে বিশেষজ্ঞদের মতামত সংক্রান্ত রিপোর্ট জমা দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছে হাইকোর্টের তরফ থেকে । টেট পরীক্ষার মোট 150 প্রশ্নের মধ্যে এতগুলি ভুল বা বিতর্কিত প্রশ্ন থাকার কারণ কী? এই বিষয়টি নিয়ে চূড়ান্ত ক্ষোভপ্রকাশ করেছে আদালত।
প্রতিবছর রাজ্য জুড়ে প্রাইমারি শিক্ষক পদে নিয়োগের জন্য টেট পরীক্ষা নেওয়া হয়। কিন্তু ২০২২ সালের টেট পরীক্ষাকে কেন্দ্র করে পরীক্ষার্থীরা একাধিক মন্তব্য জানিয়েছে হাইকোর্টে, কেননা প্রশ্নপত্রে রয়েছে একাধিক ভুল। মোট ১৫০ টি প্রশ্নের ভিত্তিতে পরীক্ষা নেওয়া হলে তার মধ্যে ২৩ টি প্রশ্নই ছিল ভুল।
প্রথমে ১৩, তারপরে ১৫ টি এবং তারও পরে ২১ টির শেষে একেবারে ওই পরীক্ষার ২৩ টি প্রশ্ন ভুল ছিল বলে দাবি করে নতুন মামলা দায়ের করা হয়েছিল কলকাতা হাইকোর্টে। কিন্তু এটা কি করে সম্ভব প্রশ্নপত্র তৈরি সময় কি কোন সতর্কতাই অবলম্বন করা হচ্ছে না? এই প্রশ্নপত্রের উপর নির্ভর করে হাজার হাজার বেকার যুবক যুবতীর ভবিষ্যৎ নির্ভর করছে। তাহলে কেন প্রশ্নপত্র তৈরির ক্ষেত্রে এত অবহেলা?
এদিন আদালতের নির্দেশ অনুসারে সকল প্রকার বিতর্কিত প্রশ্নাবলী বিশেষজ্ঞদের দেখাতে হবে এবং তাদের মতামত নিয়ে সকল প্রকার রিপোর্টগুলি আদালতে পেশ করতে বলা হয়েছে পর্ষদকে। বিচারপতির নির্দেশ, অভিযোগের স্বপক্ষে যে সব বই বা নথি আছে সেগুলি এক জায়গায় এনে একটি তালিকা করে সেই তালিকা পর্ষদকে দিতে হবে। পর্ষদকে সেই তালিকা তার বিশেষজ্ঞদের দিয়ে দেখিয়ে বিচার বিবেচনা করে মতামত নিতে হবে। তারপরে এইসব প্রশ্ন নিয়ে একটি পূর্ণাঙ্গ রিপোর্ট দিতে হবে পর্ষদকে।
পর্ষদ বিশেষজ্ঞদের কাছ থেকে এই বিস্তারিত ধারণা নেবে। তবে একটি দুটি প্রশ্ন নয় মোট ২৩ টি ভুল প্রশ্নের প্রেক্ষিতে প্রতিটি প্রশ্নের বিশ্লেষণ নেবে পর্ষদ। বিশেষজ্ঞদের প্রত্যেকটি প্রশ্নের ভিত্তিতে রিপোর্ট তৈরি করে তা পর্ষদকে জমা দিতে হবে। এজন্য আদালত মোট তিন সপ্তাহ সময় ধার্য করেছে তবে পাশাপাশি আদালত আরো জানিয়েছে এই ২৩ টি বিতর্কিত প্রশ্নের বাইরে অন্য কোন প্রশ্ন আর যুক্ত করা যাবে না।