WBCHSE Semester System Exam Pass Fail Rules: উচ্চ মাধ্যমিক স্তরে পাশ ফেলের নতুন নিয়ম|| প্রত্যেক সেমিস্টারে পাস করা কি বাধ্যতামূলক?
WBCHSE Semester System Exam Pass Fail Rules:ফের চালু হতে চলেছে উচ্চমাধ্যমিকে সেমিস্টারে পাশ ফেল প্রথা। পাশ করলে তো ভালোই কিন্তু ফেল করলে দিতে হবে পুনরায় পরীক্ষা। দীর্ঘ কয়েক বছর ধরে অবশ্য এর কোন বালাই ছিল না কিন্তু চলতি বছরে উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা স্তরে এই সমস্ত নিয়মকানুন পুনরায় শুরু হতে চলেছে।
উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা পর্ষদ থেকে জানা যায় যে, চলতি বছর থেকে উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা পর্ষদের তরফে প্রথম স্কুল স্তরে এই সেমিস্টার পদ্ধতির শুরু হতে চলেছে। নতুন বই ছাপানো থেকে সিলেবাস আপলোড পুরো প্রক্রিয়ায় প্রায় শেষের দিকে, তাই এর পরবর্তী সেমিস্টারে কিভাবে পরীক্ষা নেয়া হবে পাশ ফেল থাকবে কিনা সেই নিয়ে মূল্যায়নের মাধ্যম বদল করতে চলেছে উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষা পর্ষদ।
সেমিষ্টারে পাশ ফেল বিষয়ে পর্ষদের সিদ্ধান্ত:
প্রথমে উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষা পর্ষদের তরফে জানানো হয়েছিল, প্রথম ও তৃতীয় সেমিস্টারের ক্ষেত্রে পাশ ফেল প্রথা কিছু থাকবে না। কিন্তু শিক্ষার্থীদের শিক্ষার মান উন্নত করতে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানগুলি এই সিদ্ধান্তের পুনঃবিবেচনা ও মূল্যায়নের পরামর্শ দেয়।
এই প্রসঙ্গে উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষা পর্ষদের সচিব প্রিয়দর্শিনী মল্লিক বলেন, “আমরা চাই কোনও ভাবেই যেন নয়া পদ্ধতিতে বাংলার পড়ুয়াদের মূল্যায়নের মানের কোনো ক্ষতি না হয়” । তাদের পড়াশোনার সার্বিক মূল্যায়নের দিকে নজর রেখে স্কুল লেভেলে সেমিস্টার নিয়ম চালু হতে চলেছে। এই নতুন নিয়মে থাকছে পাস ও ফেল। কোন পরীক্ষার্থী যদি মোট চারটি সেমিস্টারের কোনোও একটিতে ফেল করেন তাকে পরবর্তী সেমিস্টারে বসতে দেওয়া হবে না। অর্থাৎ প্রত্যেকটি সেমিস্টারের নূন্যতম পাস নম্বর পেয়ে উত্তীর্ণ হতে হবে।
সেমিস্টার পরীক্ষার প্রশ্নের ধরন ও প্রাপ্ত সময়:
প্রসঙ্গত, উচ্চ মাধ্যমিক স্তরে ৭০ এবং ৮০ নম্বর এর লিখিত পরীক্ষার ক্ষেত্রে প্রত্যেক সেমিস্টারের ৩৫ থেকে ৪০ নম্বর এর পরীক্ষা হবে বলে জানানো হয়েছে। বিশেষজ্ঞদের সঙ্গে এপ্রিল মাসের ৫ থেকে ৭ তারিখে এই নিয়ে চূড়ান্ত পর্যায়ে ম্যারাথন বৈঠক রয়েছে শিক্ষা পর্ষদে। নতুন নিয়মে বলা হয়েছে,প্রথম দুটি সেমিস্টার এ ৩৫ ও ৪০ নম্বরের মধ্যে নূন্যতম পাস মার্ক পেতে হবে। তা না হলে তৃতীয় ও চতুর্থ সেমিস্টারে পরীক্ষায় বসতে পারবে না।
শিক্ষানুরাগী ঐক্য মঞ্চের সাধারণ সম্পাদক কিঙ্কর অধিকারী বলেন, ‘‘ন্যূনতম পাশ নম্বর না থাকলে উচ্চ মাধ্যমিকের মান অনেকটাই নিম্নমুখী হয়ে পড়ত। এই নিয়ে আমরা প্রথম পর্ষদের কাছে অনুরোধ করেছিলাম, যাতে এই ব্যবস্থা ফিরিয়ে আনা হয়। আমরা খুশি, শিক্ষা পর্ষদ আমাদের দাবি মেনে নিয়েছে। প্রসঙ্গত, উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষা পর্ষদের মোট চারটি সেমেস্টারের মধ্যে প্রথম তিনটি সেমেস্টারে ধার্য সময় থাকবে দেড় ঘন্টা। সর্বশেষ অর্থাৎ চতুর্থ সেমেস্টারের জন্য বরাদ্দ সময় ২ ঘন্টা। প্রথম ও তৃতীয় সেমেস্টারৈর প্রশ্নপত্রের ধাচ এমসিকিউ ফর্মাটেই হবে।
তবে যাদবপুর বিদ্যাপীঠ সহ বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ও শিক্ষক মহল পর্ষদের এই সিদ্ধান্তকে সাধুবাদ জানিয়েছেন। তাদের মতে ফের পাস ফেল প্রথা চালু হলে শিক্ষার মান বাড়বে এবং অন্তত উচ্চমাধ্যমিক স্তরে পাস ফেল প্রথা ছাত্রছাত্রীদের মূল্যায়নের জন্য বিশেষ গুরুত্বপূর্ণ।বঙ্গীয় শিক্ষক ও শিক্ষাকর্মী সমিতির সাধারণ সম্পাদক বলেন, যদি সমস্ত সিমেস্টারে পাশ-ফেল প্রথা ফিরে আসে তা হলে পরীক্ষার মানের পাশাপাশি পড়াশোনার মানও অনেকটাই বৃদ্ধি পাবে।