WBPSC Food SI Court Case Update today: ফুড এসআই নিয়োগ প্রক্রিয়া স্থগিত, ২২ শে মে পরবর্তী শুনানি, হাইকোর্টের ১১ টি নির্দেশিকা
WBPSC Food SI Court Case Update today:: চাকরিপ্রার্থীদের জন্য এক অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ নোটিশ। বাতিল হয়ে গেল ওয়েস্ট বেঙ্গল পিএসসি ফুড সাব ইন্সপেক্টর (WBPSC SI Exam) পদের পরীক্ষা। ২০২৪ সালের ১৬ এবং ১৭ ই মার্চ ছিল পাবলিক নির্বাচন কমিশনের পক্ষ থেকে ফুড সাব ইন্সপেক্টর পদের পরীক্ষা। পরীক্ষার আগেই প্রশ্নপত্র ফাঁস হয়ে যাওয়ার অভিযোগ উঠে এসেছে। দুদিন ধরে মোট ছটি শিফটে পরীক্ষাটি সম্পন্ন হয়েছিল। দিনরাত অক্লান্ত পরিশ্রম করেছিলেন ছাত্র-ছাত্রীরা নিজেদের স্বপ্ন পূরণের আশায়। অনেকেই বুক বেঁধেছিলেন এবারে চাকরিটা হয়তো তাঁরা পাকা করবেন কিন্তু সমস্তটাই অধরা থেকে গেল। বিস্তারিত ভাবে সমস্তটা একবার জেনে নিই।
পরীক্ষার্থীদের অভিযোগ কি ছিল?
পরীক্ষা কেন্দ্রে বিভিন্ন পরীক্ষার্থীরা অভিযোগ এমন ছিল যে অনেক পরীক্ষার্থী এমনও ছিলেন যাঁরা পরীক্ষার হলে মোবাইল ফোন, স্মাট ওয়াচ, বিভিন্ন ইলেকট্রনিক গেজেট ব্যবহার করেছিলেন এবং শুধু ব্যবহার নয় রীতিমত ছবি তুলে হোয়াটসঅ্যাপে পাঠানোর ঘটনাও ঘটে বলে জানানো হয়েছে। যাঁরা সেই পরীক্ষা কেন্দ্রে গার্ড ছিলেন তাঁরাও ছিলেন নীরব দর্শের ভূমিকা নেয় কোনো ধরনের প্রতিবাদ সেখানে দেখা যায় নি। তাঁদের ভূমিকা নিয়েও বারংবার প্রশ্ন উঠেছে। এরই পাশাপাশি জানা গিয়েছে প্রশ্নপত্র এবং উত্তরপত্র অত্যন্ত চড়া দামে বিক্রি হয়েছে। এক কথায় উত্তর জেনেই অনেক পরীক্ষার্থী পরীক্ষা দিতে বসেছিলেন বলে জানা গিয়েছে, এমন চিত্র আজকাল প্রায়শই দেখা যাচ্ছে চাকরির পরীক্ষাগুলিতে যা খুব বেদনাদায়ক।
ফুড এসআই নিয়োগ প্রক্রিয়া স্থগিতাদেশ:
প্রথম শিফটেই পরীক্ষার প্রশ্নপত্র ভাইরাল হয়ে যায়। ১৬ তারিখের পরীক্ষা শুরু হওয়ার কথা ছিল বেলা বারোটা থেকে। অথচ সকাল ১১ টা বেজে ৪২ মিনিটে প্রশ্নপত্র ফাঁস হয়ে যাওয়ার কথা জানা যায় সোশ্যাল মিডিয়ার মাধ্যমে। বিজ্ঞপ্তি পর থেকে ছাত্রছাত্রীদের কঠোর পরিশ্রম তার কোনো মূল্যই তারা আজ পেল না, নেমে এলো একরাশ হতাশা। আপাতত ফুড এস আই পদে নিয়োগ স্থগিত রাখল হাইকোর্ট। আবারো একবার অনিশ্চিত চাকরিপ্রার্থীদের ভবিষ্যৎ। রাজ্যে একের পর এক বেহাল দুরাবস্থায় চাকরি প্রার্থীরা ঘেরাও করবার পরিকল্পনা করছেন যদিও তা আগামী দিনে কতটা সাফল্য এনে দেবে তা সময়েই বলতে পারবে। তা সত্ত্বেও পিছ পা হব না আমরা আমাদের লড়াই আমরা লড়ব, এইভাবেই আমাদের লড়াই চলতে থাকবে।
হাইকোর্টৈ ১১ টি নির্দেশিকা জারি
বিচারপতি রাজশেখর মান্থার এজলাসে (Justice Rajasekhar Mantha) এই মামলাটি শুনানি হয় যেখানে বিচারপতি সিআইডিকে (CID) নির্দেশ দেন আগামী মে মাসের ২২ তারিখের মধ্যে সমস্ত তদন্ত শেষ করতে হবে এবং হাইকোর্টে তাদের রিপোর্ট পেশ করতে হবে এবং তার সাথে সমস্ত প্রমাণপত্র জমা দিতে হবে। তদন্তের পাশাপাশি, ভবিষ্যতে আরও স্বচ্ছ ও নিরপেক্ষ নিয়োগ প্রক্রিয়া নিশ্চিত করার জন্য হাইকোর্ট ১১ টি নির্দেশিকা জারি করেছে। যেভাবে রাজ্যে একের পর এক চাকরির দুর্নীতি সামনে আসছে তাতে আগামী দিনে ছাত্র-ছাত্রীদের মধ্যে তীব্র অসন্তোষ দানা বাঁধছে। সামনেই লোকসভা ভোট তার আগেই এমন চিত্র ভোটে কি প্রভাব পড়তে চলেছে তা চিন্তায় ফেলছে বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের শিবিরে।