জৈন ধর্মের প্রবর্তক, তীর্থঙ্কর মহাবীর, চতুর্যাম, পঞ্চ মহাব্রত,‌ ধর্ম গ্রন্থের নাম || Jainism

জৈন ধর্মের প্রবর্তক, তীর্থঙ্কর মহাবীর, চতুর্যাম, পঞ্চ মহাব্রত,‌ ধর্ম গ্রন্থের নাম || Jainism

Jainism

• বৈদিক যুগের শেষের দিকে জাতিভেদ প্রথা, সামাজিক বৈষম্য ইত্যাদি কে কেন্দ্র করে প্রতিবাদী আন্দোলন গড়ে ওঠে। এই সময় ভারতবর্ষে ৬৩ টি ধর্ম মতের উদ্ভব হয়েছিল, তার মধ্যে বৌদ্ধ ও জৈন ধর্ম ছিল বিশেষ উল্লেখযোগ্য।

• অহিংসা জৈন ধর্মের প্রধান ও সার্বিক পরিচিত বৈশিষ্ট্য ছিল। রকম আবেগের তাড়নায় কোন জীবিত প্রাণীকে হত্যা করাকেই জৈনধর্মে ‘হিংসা’ বলা হয়। ধরনের কাজ থেকে দূরে থাকাই জৈনধর্মে ‘অহিংসা’ নামে পরিচিত।

• জৈনদের প্রধান ধর্মগুরু ও জৈন ধর্মের প্রচারকরনগণ তীর্থঙ্কর নামে পরিচিত। প্রথম তীর্থঙ্কর বা ধর্মগুরু ছিলেন ঋষভদেব বা আদিনাথ। মহাবীরকে জৈন ধর্মের প্রবর্তক ধরা হলেও জৈন ধর্মের উৎপত্তির সময়কাল থেকে মহাবীর পর্যন্ত সর্বমোট ২৪ জন তীর্থঙ্কর ছিলেন। জৈন ধর্মের ২৩তম তীর্থঙ্কর ধর্মগুরু ছিলেন পার্শ্বনাথ। মহাবীর ছিলেন জৈন ধর্মের শেষ তীর্থঙ্কর বা ধর্মগুরু।

• জৈন ধর্মে ২৩ তম তীর্থঙ্কর পার্সোনাথ চতুর্যাম প্রবর্তন করেন। চতুর্যামের চারটি নীতি:- অহিংসা, সত্য, অচৌর্য ও অপরিগ্রহ।

• পার্শ্বনাথ প্রবর্তিত চতুর্যামের সাথে মহাবীর নতুন একটি ব্রত যোগ করেন (অহিংসা, সত্য, অচৌর্য, অপরিগ্ৰহ ও সূচিতা বা ব্রক্ষ্মচর্য) তাকে পঞ্চ মহাব্রত বলা হয়।

• মহাবীর আনুমানিক ৫৪০ খ্রিস্টপূর্বাব্দে বিহারের বৈশালীর কুন্দপর গ্রামে তিনি জন্মগ্রহণ করেন। মহাবীরের পিতৃদত্ত নাম ছিল বর্ধমান। তাঁর পিতা নাম সিদ্ধার্থ এবং মাতার নাম ত্রিশলা। মহাবীরের স্ত্রীর নাম যশোদা।

• জৈনদের দুটি প্রধান সম্প্রদায় ছিল শ্বেতাম্বর ও দিগম্বর। যারা সাদা বস্ত্র পড়তো তাদের নাম ছিল শ্বেতাম্বর এবং যারা বস্ত্রবিহীন থাকত তারা হল দিগম্বর। দিগম্বর সম্প্রদায়রা নগ্নতাবাদী ও প্রকৃতিবাদীতে বিশ্বাসী ছিলেন।

• কল্পসূত্র হলো একটি জৈন ধর্মগ্রন্থ, এই গ্রন্থে জৈন তীর্থঙ্করদের জীবনী পাওয়া যায়। এই গ্রন্থের রচয়িতা হলেন ভদ্রবাহু। তীর্থঙ্কর পার্শ্বনাথ ও মহাবীরের জীবনী এই গ্রন্থের বিশেষভাবে আলোচিত হয়েছে।

• জৈনদের প্রধান ধর্মগ্রন্থ ‘দ্বাদশ অঙ্গ’ প্রাকৃত ভাষায় রচিত।

 

প্রতিদিন এই ধরনের পোস্ট পেতে আমাদের হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপে ও টেলিগ্ৰাম চ্যানেলে যুক্ত হয়ে যান 

 

আরও পড়ুন:- বৌদ্ধ ধর্ম সম্পর্কিত গুরুত্বপূর্ণ তথ্য 

 

Leave a comment